ডেস্ক রিপোর্ট: ভারত শাসিত কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র পহেলগামের বৈসরণ উপত্যকায় বন্দুকধারীদের হামলায় ২৫ জন পর্যটক এবং একজন স্থানীয় ঘোড়াচালক নিহত হন। পর্যটকদের মধ্যে একজন নেপালের নাগরিকও ছিলেন। হামলাকারীদের ধরার জন্য ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালায় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীগুলি। কিন্তু এখনও তাদের ধরা যায় নি।
সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছিলেন সৌদি আরব সফরে। মি. মোদী ওই সফর কাটছাঁট করে দেশে ফিরে আসেন। আবার তখনই ভারত সফর করছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স। হামলার পরেই কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরে পৌঁছন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।
পহেলগামের হামলার জন্য পাকিস্তানের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলে ভারত প্রথমেই ঘোষণা করে যে ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তি তারা স্থগিত করছে। একই সঙ্গে সীমান্ত চৌকি আটারি বন্ধ করে দেওয়া হয়, 'সার্ক দেশগুলোর জন্য ভিসা ছাড়' প্রকল্পের আওতায় যে পাকিস্তানীরা বিশেষ ভিসা পেয়েছিলেন, তা বাতিল করে ভারত। এক সপ্তাহের মধ্যে দিল্লি ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয় পাকিস্তানের সামরিক পরামর্শদাতাদের এবং পাকিস্তানের দূতাবাসের কর্মী সংখ্যাও কমিয়ে দেওয়া হয়।
এদিনই বিকেলে ভুল করে পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সেক্টরের সীমান্ত পেরিয়ে কিছুটা এগিয়ে যান পিকে সিং নামে বিএসএফের এক প্রহরী। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে আটক পাক রেঞ্জার্স। মি. সিংয়ের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলায়। এখনও তাকে ছাড়ে নি পাকিস্তানি বাহিনী।