আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাশ্মীরের পহেলগামে সাম্প্রতিক পর্যটক নিহতের ঘটনায় জানা গেছে, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আগেই সম্ভাব্য হামলার সতর্কবার্তা দিয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ১৯শে এপ্রিলের কাশ্মীর সফর উপলক্ষে শ্রীনগর ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছিল, তবে আবহাওয়ার কারণে সফর বাতিল হয়।
এরপর ২২শে এপ্রিল পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। যদিও গোয়েন্দারা হামলার স্থান নির্দিষ্টভাবে বলেননি।
এখন জানা গেছে, হামলাকারীরা আগে থেকেই ওই এলাকায় ছিল। এতে স্থানীয় গোয়েন্দা ব্যর্থতার বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।
এই ঘটনার পর নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়, যার ফলে সীমান্তবর্তী মানুষ আতঙ্কে বাংকার পরিষ্কার বা নির্মাণ শুরু করেন।
বহু পরিবার ভূগর্ভস্থ বাংকারে আশ্রয় নিচ্ছেন, বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
সীমান্তবর্তী এলাকায় ২০১৭, ২০১৯ ও ২০০২ সালের মতো আগেও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এদিকে পর্যটন নির্ভর অনেক এলাকাতেই গোলাগুলির কারণে পর্যটক আসা বন্ধ হয়ে গেছে, ফলে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান হুমকির মুখে পড়েছে।
যদিও ২০২১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়, পহেলগামের ঘটনার পর সেটি ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে দুই দেশের সীমান্ত উত্তেজনা চরমে।
তথ্য: বিবিসি