হাসান আহমেদ প্রান্তঃ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, নারায়ণগঞ্জ-৪ (সিদ্ধিরগঞ্জ-ফতুল্লা) আসন ঘিরে ততই নতুন নতুন আলোচনার জন্ম নিচ্ছে। এসব আলোচনায় অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন একজন আলেম, সমাজসেবক ও দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতা—মাওলানা দ্বীন ইসলাম। তবে তিনি রাজনীতিকে প্রচলিত দৃষ্টিতে দেখেন না। তার দৃষ্টিতে, “রাজনীতি কোনো ব্যক্তিগত বা দলীয় স্বার্থ চরিতার্থ করার হাতিয়ার নয়; বরং এটি সমাজ ও মানুষের কল্যাণে উৎসর্গিত একটি দায়িত্ব ও পবিত্র আমানত।”

দীর্ঘদিন ধরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মাওলানা দ্বীন ইসলাম। তাঁর নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জে ইসলামী আদর্শ, ধর্মীয় শিক্ষা ও নৈতিকতাভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য নানামুখী কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। তবে এখানেই থেমে থাকেননি তিনি—রাজনীতির বাইরেও সামাজিক উদ্যোগ, ত্রাণ তৎপরতা, চিকিৎসা সহায়তা, বৃত্তি বিতরণ, মাদকবিরোধী প্রচারণাসহ নানা ক্ষেত্রে সরাসরি যুক্ত থেকেছেন।

তার বিশ্বাস, সমাজ পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি দরকার, কিন্তু সেই রাজনীতি হতে হবে সমাজসেবার ভিত্তিতে। তিনি বলেন, “যে রাজনীতি মানুষের সেবা করে না, দুর্বলকে রক্ষা করে না, ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ায় না—সে রাজনীতি জনবিচ্ছিন্ন, অকার্যকর এবং ক্ষতিকর।”

সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লার বহু অঞ্চলে তাঁর ত্রাণ, শিক্ষা ও পুনর্বাসন কার্যক্রম সাধারণ মানুষের আস্থার জায়গা তৈরি করেছে। বিশেষ করে করোনাকালীন দুর্যোগে তার সংগঠিত সহায়তা কার্যক্রম ছিল নিঃস্বার্থ ও দৃষ্টান্তমূলক। জনগণ তাঁকে চিনে একজন মসজিদমুখী, দরিদ্রবান্ধব, পরিশ্রমী এবং আল্লাহভীরু রাজনীতিক হিসেবে।

মাওলানা দ্বীন ইসলাম মনে করেন, একজন জনপ্রতিনিধির আসল পরিচয় দল নয়, তার কাজ ও চরিত্র। তিনি বলেন, “মানুষের মাঝে থেকে, তাদের কষ্ট-বেদনা অনুভব করে, চোখের পানি মোছার চেষ্টা করাই একজন নেতার প্রকৃত দায়িত্ব।”

স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন, মাওলানা দ্বীন ইসলামের মতো একজন সমাজসেবক-আলেম যদি সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন, তাহলে কেবল নারায়ণগঞ্জ নয়, পুরো দেশ একটি আদর্শ নেতৃত্বের স্বাদ পাবে। তাঁর সাদামাটা জীবনযাপন, দূরদর্শী নেতৃত্ব ও অরাজনৈতিক সমাজসেবার ভাবনা আজ তাকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে ইসলামপন্থীদের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় প্রার্থীতে পরিণত করেছে।

একজন স্থানীয় বাসিন্দার ভাষায়, “যিনি রাজনীতিকে সেবার মাধ্যম মনে করেন, তিনিই আমাদের প্রার্থীর যোগ্য।”