প্রিন্ট এর তারিখঃ Jun 8, 2025 ইং || প্রকাশের তারিখঃ May 3, 2025 ইং
পাল্টাপাল্টি বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞায় ভারত-বাংলাদেশের ক্ষতির শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কয়েক মাস ধরে চলা বাকযুদ্ধের পর ভারত ও বাংলাদেশ একে অপরের বিরুদ্ধে বেশ কিছু বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর সম্ভাব্য প্রভাবের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন দেশ দুটির ব্যবসায়ীরা।
দেশীয় শিল্পকে সস্তা আমদানির চক্র থেকে বের করে আনতে গত মাসে বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে স্থলপথে তুলা আমদানির ওপর নিয়ন্ত্রণ করেছে।
মূলত, ভারত হঠাৎ করেই বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা স্থগিত করার পরপর-ই ঢাকার তরফ থেকে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আগে ওই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার আওতায় বাংলাদেশ ভারতের সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে পণ্য রপ্তানি করতে পারত।
কিন্তু ভারত "কনজেশন" বা পণ্যের "তীব্র জট" তৈরি হচ্ছে – এই অজুহাত দেখিয়ে ওই সিদ্ধান্ত নেয়।
গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত বছর পাঁচই অগাস্ট বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষ্মতাচ্যুতির পর বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটে।
ক্ষমতা হারিয়ে বর্তমানে তিনি ভারতে নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন এবং বাংলাদেশ পরিচালনা করছে শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ, অর্থপাচার ও দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ আছে। এগুলোর বিচারের জন্যই দিল্লির কাছে বারবার শেখ হাসিনার প্রত্যার্পণ দাবি করেছে ঢাকা।
তবে শেখ হাসিনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আর দিল্লিও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি।
এদিকে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ব্যাপারে যেসব প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে, ওগুলোর বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে সমালোচনা করেছে ভারত।
একজন হিন্দু নেতা হত্যার ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে দিল্লি বলেছে, এটি অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে "পদ্ধতিগত নিপীড়নের ধারাবাহিকতা"।
তবে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ বাংলাদেশ ওইসব অভিযোগ নাকচ করে বলেছে, হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়নের ঘটনাগুলো হয় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অথবা সাধারণ অপরাধ।
১৭ কোটি জনসংখ্যার দেশ বাংলাদেশে হিন্দু জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ১০ শতাংশেরও কম।
তথ্য: বিবিসি
© সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ দৈনিক প্রভাত বার্তা