বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী ,টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের নির্ভরযোগ্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ছায়ানীড় গোপালপুর উপজেলার যমুনা পাড়ের ঐতিহাসিক জনপদ ও নৌ-ঘাট নলিন বাজারের মজনু খানের ঘরে সুজনের চায়ের দোকানে এই ব্যতিক্রমধর্মী পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেন।
৬ জুন বিকেল ৪ টায় নলিন বাজারে যমুনা নদীর কোলে সুজনের চায়ের দোকানে টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত বইপ্রেমীদের উপস্থিতিতে পাঠাগার স্থাপনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সকলেই স্ব স্ব মূল্যবান মতামত ব্যক্ত করেন।
টাঙ্গাইলের এম,এম.আলী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মোহাম্মদ সামছুদ্দোহার সভাপতিত্বে ছায়ানীড় প্রকাশনা সংস্থার পরিচালক মো: লুৎফর রহমানের সঞ্চালনায় এই পাঠাগার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ছায়ানীড় প্রকাশনী, সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলন, গ্রাম প্রকাশনী, পাঠাগার ৭১, আলোকিত পাঠাগার, বৈরাণ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংসদ, রনলা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংসদ ও শুভশক্তি বাংলাদেশের সাহিত্য সারথীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে উঠে।
পাঠাগার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন আনজু আনোয়ারা ময়না,মো: আবু মনছুর সাদি সালমান,মো: রুহুল আমীন,এম আজমল খান, আবদুস সাত্তার খান, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী,নিলুফার ইয়াসমিন,মুনছুর রহমান, মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ,রনি খাতুন,মো: আবদুল্লাহ আল মামুন,
শাহরিয়ার সুমন,মো: খায়রুজ্জামান ভূঞা,
গোলাম কিবরিয়া, সানদিদ আল সাইফ, তারুণ্য তাওহীদ, মো: কামরুজ্জামান, মো: শরীফ খান, মো: রমজান শেখ ও মো: সুজন মিয়া।
উক্ত অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন অধ্যাপক মো: আবু মনছুর সাদি সালমান। কবিতা আবৃত্তি করেন বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী ও রনি খাতুন।
নির্ধারিত এই স্থানে পাঠাগার স্থাপনের সর্বপ্রথম স্বপ্নদ্রষ্টা,কবি,লেখক,সংগঠক ও স্থাণীয় মুক্তিযোদ্ধা নয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনজু আনোয়ারা ময়না। মূলত আনজু আনোয়ারা ময়নার ঐকান্তিক ইচ্ছে ও আয়োজনের ফলেই যমুনা নদীর কোলে সুজনের চায়ের দোকানে আজকের এই পাঠাগার প্রতিষ্ঠা। আর এ কারণেই অর্থাৎ আনজু আনোয়ারা ময়নার পাঠাগার প্রতিষ্ঠার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করে ছায়ানীড় প্রকাশনীর পরিচালক মো: লুৎফর রহমান এই পাঠাগারটির নাম দেন " ময়না মুক্ত পাঠাগার "।
যমুনা অববাহিকায় স্থাপিত সুজনের এই চায়ের দোকানে শুধু চা খাওয়া নয়, যে কোনো অবসরে এলাকার মানুষ এখানে এই পাঠাগারে বসে নিয়মিত বই পড়বে বলেও সকলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।